বরিশাল রায়পাশা কড়াপুর ইউনিয়ন'র-,খোকন চেয়ারম্যান নিজেও সর্তক থাকার কথা বললেন ! Latest Update News of Bangladesh

সোমবার, ০৬ মে ২০২৪, ০৮:৩০ পূর্বাহ্ন

বিজ্ঞপ্তি :
Latest Update Bangla News 24/7 আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি ভয়েস অব বরিশালকে জানাতে ই-মেইল করুন- [email protected] অথবা [email protected] আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।*** প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে!! বরিশাল বিভাগের সমস্ত জেলা,উপজেলা,বরিশাল মহানগরীর ৩০টি ওয়ার্ড ও ক্যাম্পাসে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে! ফোন: ০১৭৬৩৬৫৩২৮৩




বরিশাল রায়পাশা কড়াপুর ইউনিয়ন’র-,খোকন চেয়ারম্যান নিজেও সর্তক থাকার কথা বললেন !

বরিশাল রায়পাশা কড়াপুর ইউনিয়ন’র-,খোকন চেয়ারম্যান নিজেও সর্তক থাকার কথা বললেন !




“চারটি খাতে ঘুষ নাদিলে নাগরিক সেবা দেয়না ইউপি সচিব আতিক ”
থানা প্রতিনিধি :
চারটি খাতে ঘুষ নাদিলে নাগরিক সেবা দেয়না ইউপি সচিব আতিক। বরিশাল সদর কড়াপুর ইউনিয়ন পরিষদে বেশ খোলামেলাই এমন ঘুষ ত্রাস। ভুক্তভুগীসুত্রে জানা গেছে, রায়পাশা কড়াপুর ইউনিয়নের অধিকাংশ নাগরিকদের জন্ম নিবন্ধন, ভোটার আইডি কার্ড ভুল। জন্ম নিবন্ধন ও ভোটার তালিকা করার সময় ডাটাবেইজ তৈরীতে যে ভুল হয়েছে সেই ভুলের যাতাকলে রয়েছে ইউনিয়নের নাগরিকরা। নাম, বয়স,ঠিকানা, পিতা-মাতা,স্বামীর নামে ভুল রয়েছে। ভুল সংশোধন করতে গিয়ে ইউনিয়ন থেকে নাগরিক সনদ ও চেয়ারম্যান থেকে লিখিত নেয়ার প্রয়োজন হয়।

আর এ বিষয়টি পুজি করে পরিষদ সচিব আতিক জন্ম নিবন্ধন সংশোধনে ৫শ/১ হাজার টাকা। ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করতে গেলে উপজেলা নির্বাচন অফিসে খরচ আছে বলে ব্যাংক চালান বাধে হাতিয়ে নেয় ৫শ/১হাজার টাকা। এদিকে পরিষদের চেয়ারম্যান নগরীতে বসবাস করায় বেশিরভাগ সময়ই শহরে থাকেন। ইউনিয়নের কারো যদি নাগরিক সনদ প্রয়োজন হয় তখন সচিব ১০/৫০/১শ টাকা হাতিয়ে নেয় সীল স্বাক্ষর এনে দেয়ার কথা বলে। উল্লেখিত চারটি খাতে টাকা দেওয়া থেকে বাদ পড়ছেনা খোদ ইউনিয়ন পরিষদের চৌকিদার,দফাদারসহ সদস্যরাও।

ষোলনা গ্রামের বাসিন্দা রবিউল ইসলাম জানায়, আমি জন্ম নিবন্ধনের ভুল সংশোধন করার জন্য সচিবের কাছে যাই। আমাকে প্রায় এক সপ্তাহের বেশি সময় অপেক্ষমান রাখার পরে নেট খরচা ঢাকায় যেতে হবে ইত্যাদি বলে প্রায় দেড় হাজার টাকা নিয়েছে। এরপর অবশ্য পরিষদ কার্যালয়ে থেকেই ঠিক করে দেয়। পরবর্তীতে বিষয়টি বরিশাল জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে জানানোর পর এধরণের আর্থিক লেনদেন নাকরার জন্য হুশিয়ারি করে দেয়া হয়। অপর এক ভুক্তভূগী জানায়, কোন প্রকল্প আসলে সেটি বাস্তবায়ন করতে গেলে উক্ত সচিবকে নির্দিষ্ট অংকের কমিশন দিতে হয়।

জানা গেছে সম্প্রতি ৪০দিনের কর্মসুচী বাস্তবায়ন হয়েছে মাত্র ১৫দিন। ৪০দিনের বরাদ্ধ ছিলো ১৫লাখ টাকা এবং কাজ হয়েছে ৬ লাখ টাকার। নয় লাখ টাকা হজম করতে অফিস খরচার নামে সচিব নেয় ২১ পারসেন্ট কমিশন এবং প্রেস মিডিয়ার কথা বলে নেয় সর্বমোট ত্রিশ হাজার। অথচ এব্যাপারে অনুসন্ধানে জানা যায়, এধরণের কোন খরচ তাকে করতে হয়নি এবং তা চালুও নেই কিন্তু সে পুরোটাই হজম করেছে।

কড়াপুর ইউনিয়ন সচিবকে টাকা নাদিয়ে নাগরিক সেবা পাওয়া যায়না বিষয়টি সরেজমিনে কেউ তদন্ত করলে তা সহসাই স্পষ্ট হবে বলে মনে করেন একাধিক ভুক্তভুগী নাগিরক। তবে এব্যাপারে পরিষদ সচিব আতিক বলেন, আমি কোন টাকা-পয়সা খাইনা। চেয়ারম্যানের সাথে কথা বলেন বলে মোবাইলের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেন। কিন্তু এহেন কর্মকান্ডের ব্যাপারে, ইউনিয়নটির চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান খোকন বলেন, কেউ অভিযোগ দিলে অবশ্যই কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। আর আমি এবিষয়টিতে আরো সর্তক থাকবো।

অপরদিকে বরিশাল সদও উপজেরা নির্বাহী অফিসার মো:হুমায়ুন কবির বলেন, এধরণের বিষয়গুলোতে কেউ লিখিত অভিযোগ দেয়না যেকারণে কোন ব্যবস্থা নেয়া কঠিন হয়ে পরে। এরপরও বিষটিতে ব্যবস্থা নেয়া হবে খতিয়ে দেখে।

সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করুন



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *










Facebook

© ভয়েস অব বরিশাল কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed BY: AMS IT BD